খরগোশের শারীরবৃত্তবিজ্ঞান শিকারীদের পালাতে এবং বিভিন্ন আবাসস্থলে বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত, একা অথবা দলবদ্ধভাবে বাসা বা গর্তে বাস করে। শিকারী প্রাণী হিসেবে, খরগোশ তাদের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকে, তাদের দৃষ্টিশক্তির বিস্তৃত ক্ষেত্র এবং সম্ভাব্য শিকারীদের সনাক্ত করার জন্য উচ্চ পৃষ্ঠতলের কান থাকে। খরগোশের কান তাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরিহার্য এবং রক্তনালীগুলির উচ্চ ঘনত্ব থাকে। খরগোশের পিছনের পায়ের হাড়ের গঠন, যা সামনের পায়ের চেয়ে লম্বা, দ্রুত লাফানোর অনুমতি দেয়, যা শিকারীদের পালাতে উপকারী এবং ধরা পড়লে শক্তিশালী লাথি দিতে পারে। খরগোশ সাধারণত নিশাচর এবং প্রায়শই চোখ খোলা রেখে ঘুমায়। তারা দ্রুত প্রজনন করে, তাদের অল্প সময়ের জন্য গর্ভধারণ হয়, চার থেকে বারোটি বাচ্চা বড় হয় এবং কোনও নির্দিষ্ট প্রজনন ঋতু থাকে না; তবে, খরগোশের ভ্রূণের মৃত্যুর হার বেশি, এবং খরগোশকে প্রভাবিত করে এমন বেশ কয়েকটি বিস্তৃত রোগ রয়েছে, যেমন খরগোশের রক্তক্ষরণজনিত রোগ এবং মাইক্সোমাটোসিস। কিছু অঞ্চলে, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায়, খরগোশ পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি করেছে এবং তাদের কীটপতঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৳ 340